এম এম লিংকন: [২] ধারাবাহিক অগ্নিকাণ্ডে সংশ্লিষ্টদের গাফিলতি মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন অভিযোগ তুলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, তারা কীভাবে দিনের পর দিন এগুলোর পুনরাবৃত্তি করছেন? এত দুর্ঘটনার পরও কী রাষ্ট্রের টনক নড়বে না ? বলেও প্রশ্ন রাখেন তিনি।  

[৩] এছাড়া রাষ্ট্রীয় সংস্থা হিসেবে রাজউক, ফায়ার সার্ভিস, সিটি করপোরেশন তাদের ভূমিকা কী কেবল নোটিশ দেওয়া ? সরকারি এ সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেন ড. কামাল উদ্দিন। 

[৪]  রোববার নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

[৫] তিনি বলেন, বেইলি রোডের ভবনটিতে বাণিজ্যিক অনুমোদন নেওয়ার ক্ষেত্রেও প্রভাবশালী মহলের চাপ ছিল বলে শোনা যাচ্ছে। যে কারণে ভবনটিকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনায় শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে বাণিজ্যিক ব্যবহার ও রেস্তোরাঁ পরিচালনা দুটি ভিন্ন ব্যবহার। যেখানে মাত্র একটি সিঁড়ি, এমন একটি ভবনে রেস্তোরাঁ চলতে পারার কথা না। 

[৬] দেশে ভবন নির্মাণ ও ব্যবহারের জন্য আইন আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফায়ার সেফটি সম্পর্কিত আইনও যথেষ্ট রয়েছে; অগ্নিকাণ্ড বিষয়ে দেশে মোট ২২টি আইন এবং হাইকোর্টের একটি জাজমেন্ট রয়েছে। এই ২২টি আইনের মধ্যে ১৩টি মৌলিক আইন এবং ৯টি হল সাব-অর্ডিনেট। কিন্তু সেগুলো কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।

[৭]  বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজের দ্বিতীয় তলায় থাকা কাচ্চিভাই রেস্টুরেন্টে কোনো জানালা ছিল না উল্লেখ করে ড. কামাল উদ্দিন বলেন, ভবনের সিঁড়িতেই গ্যাস সিলিন্ডার রাখা ছিল। ফলে দুর্ঘটনায় আটকে পড়া মানুষজনের সিঁড়ি দিয়ে উঠানামাই কঠিন হয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মুত্যুবরণকারী ৩৫ জনের মৃতদেহে কোনো পোড়া-কাটা ছিল না; কারণ তারা সবাই বিষাক্ত কার্বন মনোঅক্সাইড গ্যাসের কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন। সম্পাদনা : কামরুজ্জামান